অনার্স ভর্তি পরীক্ষা কোন নিয়মে হবে ?

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা ফিরছে প্রায় ১০ বছর পরে। এ ক্ষেত্রে চলতি বছর অনার্স ভর্তি পরীক্ষা কোন নিয়মে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে শিক্ষার্থীদের মনে।

ইতিমধ্যে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এবং যাবতীয় সকল তথ্যই বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃ ২ টি ভুলের কারণে অনার্স ভর্তি আবেদন বাতিল হয়

তবে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নের শেষ নেই। তারা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাচ্ছে। কেননা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

অধীনে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে এইচএসসি উত্তীর্ণ বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে

প্রায় ৮০০ উপরে কলেজে শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য চেষ্টা করছেন। বিগত বছরগুলো থেকে ভর্তি পরীক্ষা না নেয়া

হলো চলতি বছর থেকে তারা ভর্তি পরীক্ষায় ফিরছে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে কিভাবে কি

করতে হবে তা নিয়ে রয়েছে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্ন। নিচে আমরা একটি একটি করে বিষয় উপস্থাপন করছি।

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি রাখা হয়েছে এমসিকিউ অর্থাৎ বহুনির্বাচনী আকারে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় প্রশ্ন পাবে।

যেখানে শিক্ষার্থীদেরকে ১০০ টি প্রশ্ন দেয়া হবে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন বাংলা ইংরেজি সাধারণ জ্ঞান

এবং তাদের গ্রুপ সাবজেক্ট এর উপরে প্রশ্ন আসবে। সেখান থেকে শিক্ষার্থী ১০০ প্রশ্নের উত্তরই দিতে হবে অর্থাৎ

কোন প্রকার যাচাই বাছাই করার সুযোগ পাবে না, সরাসরি ১০০ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টনে বলা হয়েছে বিজ্ঞান মানবিক ব্যবসা বিভাগের শিক্ষার্থীদের

বাংলা ইংরেজি এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান প্রসঙ্গে প্রশ্ন আসবে এবং তাদের গ্রুপ সাবজেক্টের উপর প্রশ্ন আসবে,

যেখান থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তবে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয় গুলোর উপরে তাদের প্রশ্নগুলো করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষার সময়

আগামী ৩ মে দুই ২০২৫ তারিখে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার জন্য

সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অর্থাৎ এই এক ঘন্টা পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।

১ ঘন্টার মধ্যে ১০০ টি বহুনির্বচনী প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।

ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর

১০০ নম্বর পরীক্ষা আয়োজন করা হলোও পাস করার জন্য শিক্ষার্থীদের দরকার হবে মাত্র ৩৫ নম্বর।

যদি শিক্ষার্থী ৩৫ নম্বর অর্জন করতে পারে তাহলে শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে। তবে শিক্ষার্থীর যে কলেজে আবেদন করেছে

সেই কলেজে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে কলেজের পছন্দ ক্রম আবেদন করার নিয়ম এবং প্রতিযোগিতার উপর নির্ভর করে।

এডমিট কার্ড এবং পরীক্ষা কেন্দ্র

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এডমিট কার্ড এবং কেন্দ্র ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে যখন অ্যাডমিট কার্ড প্রদান

করা হবে, তখন সেখানে কেন্দ্রের নাম উল্লেখ করা থাকবে। শিক্ষার্থীরা সেই পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করবে।

তাছাড়া এডমিট কার্ড শিক্ষার্থীরা সংগ্রহ করতে পারবে, ভর্তি পরীক্ষার ঠিক ৭ দিন আগে থেকে অর্থাৎ এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখের

পরে এই এডমিট কার্ড বিতরণ শুরু করা হবে। নিজেরাই অনলাইন থেকে এডমিট কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে।

সকল আপডেট দ্রুত পেতে আমাদের Whatsapps গ্রুপে জয়েন হোন Join Group

Leave a Reply