চলতি বছরে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন নাটক রচনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
বর্তমানে এইচএসসি ২০২৪ সম্পন্ন করে ৫ লাখ শিক্ষার্থী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুনঃ ২ টি আর্থিক অনুদান আবেদন শেষ ২৮ ফেব্রুয়ারি
এই অবস্থায় হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত এসেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে সরে যাবে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
যেখানে প্রথম সাড়িতে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।
ইতিমধ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা
পড়েছেন নানান বিলম্বনার মধ্যে, কেননা তাদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় একটি মানবন্টন এর অধীনে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু এখন প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা মানবন্টনে আলাদা আলাদা আবেদন ফি পূরণ করে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার বিষয়টি অনেক শিক্ষার্থীর জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশনের সামনে আন্দোলন করে আসছিল, তাদের গুচ্ছ ভর্তি স্বাভাবিক রাখার জন্য।
সকল আপডেট দ্রুত পেতে আমাদের Whatsapps গ্রুপে জয়েন হোন | ![]() |
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুর কমিশনের নবনিযুক্ত কমিটি এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে শিক্ষার্থীরা ধারনা করছে,
কেননা তারা উপস্থিত থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারলেও শিক্ষার্থীদেরকে বিপদে ফেলছে বলে তারা দাবি করেছেন।
এই অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি, গত ২৭ জানুয়ারি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেন যেখানে সকল বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশনা দিয়েছেন তারা যেন
ভর্তি পরীক্ষায় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফিরে আসে। কিন্তু এরপর পরপরই হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছে তারা গুচ্ছ অধীনে আর ফিরবে না।
অন্যদিকে দুপুরবেলা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি স্পষ্ট করেন তারা গুচ্ছের মাধ্যমে আর ফিরছে না,
এই পরিস্থিতির বিলম্বের মধ্যে পড়ছে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বলছে যারা এই মুহূর্তে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে গেছে তারা আপাতত বাইরে থাকুক।
আরও পড়ুনঃ ৩ টি আর্থিক অনুদান পাবে সকল শিক্ষার্থী – আবেদন করুন জলদি
তবে যারা এই মুহূর্তে গুচ্ছের মধ্যে রয়েছে ভর্তি কার্যক্রম চালু করেনি। তাদেরকে গুচ্ছের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু করা হোক।
কারণ সকল বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা আলাদা ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, যদি সকল বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা আলাদা
ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় সেক্ষেত্রে আমাদের আর্থিকভাবে এবং মানসিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত সম্মুখীন হতে হবে।
কেননা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা আবেদন এর মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করা, সেখানে উপস্থিত থেকে
পরীক্ষা অংশগ্রহণ করা এমনকি একই দিনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে আমরা
ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারটা নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। তাছাড়া মান বন্টন পরিবর্তন সমস্যা তো রয়েছে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন মানবন্টনে পরীক্ষা নিয়ে থাকে, এছাড়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যে সেকেন্ড টাইমের ভর্তি কোন সুযোগ দিচ্ছে না।
যা সম্পূর্ণ আমাদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে, অনেকেই ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও আরো ভালো
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পেয়েও এক বছর ধরে পরিশ্রম করছে কিন্তু হঠাৎ করে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে তারা সিদ্ধান্ত দিচ্ছে।
তারা সেকেন্ড টাইমার অ্যালাও করবে না, এ বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় নিকট থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে
নিয়ে যাচ্ছে এবং ধারণা করা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ করছেন।

My goal is that no student should be disadvantaged due to lack of information. Education should be for everyone.