বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনুদ আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তারা বলেন এইচএসসি পরীক্ষার সম্পূর্ণ বিষয়টি অযৌক্তিক।
জোর করে অবরুদ্ধ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন পরীক্ষা আয়োজন করা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হবে – HSC Exam 2024
শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিল, কিন্তু পরবর্তীতে আমরা শুনতে পাই, তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেছে
এবং সেখানে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করছে। আমরা সেখানে উপস্থিত থাকি এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে কথা বলতে চাই,
কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলেছে তাদের সামনাসামনি এসে কথা বলতে হবে, কোন প্রতিনিধি তারা দিবে না। সর্বশেষ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রবেশ করে
এবং খারাপ পরিবেশ তৈরি হয় যার। পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা সচিব ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের
চেয়ারম্যান মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন পরীক্ষা বাতিল করবে এবং এই পরীক্ষা সাবজেক্ট ম্যাপিং এর মাধ্যমে মূল্যায়ন করবে।
শিক্ষার্থীরা বলছে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, তাই তারা এখন আর আন্দোলন করছে না।
আরও পড়ুনঃ এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৪ কবে দিতে পারে ?
কিন্তু যদি এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয় তাহলে তারা আবার আন্দোলন করতে পারে, তবে সমন্বয়ক বলছে এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক,
এভাবে মেধার মূল্যায়ন করা সম্ভব নয় আমরা মেধা নিয়ে আন্দোলন করেছি আমরা চাই মেয়েদের মাধ্যমে মূল্যায়ন হোক।
তারা বলেন এরপরে আর যেন এরকম কোন সিদ্ধান্ত না হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে এবং যে কেউ যেন রাস্তায় নেমে
তাদের আন্দোলন না করে। নতুন সরকার গঠন হয়েছে তাদেরকে সময় দিতে হবে তবে আস্তে ধিরে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
পরীক্ষা পুনরায় আবার নিবে কিনা এমন প্রশ্নের যেভাবে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। এখন আর পরীক্ষায় আয়োজন করার কোন পরিকল্পনা হয়তোবা শিক্ষা মন্ত্রণালয় নেই।
সাবজেক্ট ম্যাপিং মাধ্যমে মূল্যায়ন করার বিষয়টি এখন সামনে। আসবে খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হবে কিভাবে তারা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট প্রকাশ নিয়ে।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা বলছে আমরা পরীক্ষায় আয়োজন করার জন্য যায়নি, আমরা বলেছি আমাদের সাবজেক্ট ম্যাপিং মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হোক।
কারণ আমাদের অনেক বন্ধু বান্ধব অসুস্থ হসপিটালে ভর্তি অনেক শিক্ষার্থী আন্দোলন করেছে। মানসিক অবস্থা ভালো নেই।
তাছাড়া বারবার পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী অস্বস্তিতে ছিল, তাই আমরা পরীক্ষায় আয়োজন করার
কোনভাবেই পক্ষে না। সর্বশেষ তারা আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে তার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদেরকে।
Leave a Reply