৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে ২০২৪ সালে

২০২৪ সালে ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। যার বেশিরভাগই ছিল মাধ্যমিক স্তরে। কেন আত্মহত্যা করেছে কিভাবে আত্মহত্যা করেছে এ প্রসঙ্গে আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত

সংবাদ সম্মেলনে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের মূল বিষয়বস্তু ছিল ২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরী।

আচল ফাউন্ডেশন এর অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের তথ্য তারা তুলে ধরেছে, তার সাথে ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছে স্কুল কলেজ

এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে সর্বমোট ৫৩২ জন এবং ২০২৩ সালে স্কুল কলেজ এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

আরও পড়ুনঃ ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অনুদান আবেদন করুন ২০২৫

২০২৪ সালে আত্মত্যাকারী মূল শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১০ জন। এদের মাঝে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রয়েছে।

রাজনৈতিক পদ পরিবর্তন অস্থিরতার কারণে আত্মহত্যা সম্পর্কিত রিপোর্ট মিডিয়াতে কম এসেছে বলে তারা মনে করছে।

যার কারণে সংকটা তুলনামূলক এ বছর কিছুটা কম। বয়সভিত্তিক পর্যালোচনা করে দেখা যায় ১৩ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সী

শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ সালে মোট আত্মত্যাগের মানুষের ৬৬ শতাংশ এই 1

3 থেকে 19 বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার, পরবর্তীকালে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ বছরের যুবক

যুবতীরা অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান।২০২৪ সালে প্রতিবেদন অনুযায়ী আত্মহত্যার

প্রবণতার সব শ্রেণীর মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে। তবে নারীর মধ্যে তুলনামূলক একটু বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

মোট ৩১০ জন আত্মত্যাগ করেছে এর মধ্যে মোট আত্মহত্যা ৬১ শতাংশ নারী, বাকি যারা আত্মহত্যা করেছে সবাই পুরুষ ও তৃতীয়

লিঙ্গের একজন আত্মহত্যা করেছে। এছাড়াও এসএসসি ও সমমান অর্থাৎ মাধ্যমিক মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।

২০২৪ সালে আত্মহত্যকারীদের মধ্যে ৪৬ শতাংশ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী। এরপরে উনিশ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী।

আত্মতার ক্ষেত্রে গলায় ফাঁসি দিয়ে ঘটানো সবচেয়ে বেশি ঘটেছে যা প্রায় ৮৩ শতাংশ। এছাড়াও বিষপানে আত্মহত্যা ছাদ

দিয়ে ঝাঁপ পানিতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু ট্রেনে পড়ে কাটা ছুড়ি দিয়ে আঘাত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার মত বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।

অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে তারা যেন তাদের শিক্ষার্থীদের সন্তানের দিকে বিশেষভাবে নজর দেয়।

বিশেষ করে ১৫ বছর থেকে ১৩ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের বয়সন্ধিকাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই বয়সেই ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাই উচিত হবে এই বয়সে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা বন্ধুসুলভ আচরণ করা ভয়-ভীতি না দেখানো।

Shovon Study সকল আপডেট পেতে Whatsapp Channel ফলো করুন

Leave a Reply