এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডের বেশ কিছু অজানা তথ্য রয়েছে, যে বিষয়গুলো অনেক শিক্ষার্থী জানেনা আবার জানলেও তারা ভুল জানে।
তাই আজকে আমরা শিক্ষার্থীদের এই তথ্যগুলো দিয়ে সহযোগিতা করব যাতে তারা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং পরীক্ষার ফলাফল ভালো করতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ড এসএসসি পরীক্ষায় আয়োজন করে থাকে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার যাবতীয়
সকল কার্যক্রম শিক্ষা বোর্ড করে থাকলো পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে থাকে আবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখানে অনেক
কার্যক্রম রয়েছে যেগুলো অফিসিয়াল এ পরিচালনা করা হয়। এ বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
কিন্তু এসএসসি পরীক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা শিক্ষার্থী পরীক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলো জানলে তার প্রস্তুতি এবং রেজাল্ট উভয়ই ভালো হবে।
পরীক্ষা ওএমআর সম্পর্কিত তথ্য
ওএমআর পূরণ করতে হবে নিজেদের হাতে এবং প্রত্যেকটা পরীক্ষা তাদের রোল নম্বর রেজিস্ট্রেশন নম্বর সেট কোড সহ
বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে হবে। যদি কোন শিক্ষার্থী এই জায়গায় ভুল করে তাহলে কিন্তু তার সম্পূর্ণ রেজাল্ট ফেল আসতে পারে
অর্থাৎ রোল নম্বরে পূরণের ভুল রেজিস্ট্রেশন নম্বর পূরণে ভুল অথবা তার সেট কোড ভুল হলে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে ফেল আসতে পারে।
এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে, কিভাবে ওএমআর
ফরম পূরণ করবে সে ব্যাপারে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে সেগুলো শিক্ষার্থীদের দেখে সহায়তা নিতে পারে।
পরীক্ষার পাশ সম্পর্কিত তথ্য
এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সবগুলো অংশে আলাদা আলাদা ভাবে পাস করতে হবে অর্থাৎ ব্যবহারিক অংশে আলাদা পাস
সৃজনশীল অংশে আলাদা পাস বহুনির্বাচনি অংশে আলাদা পাস। ব্যবহারিক অংশে ২৫ নম্বরে পরীক্ষা পাস করার
জন্য ৮ নম্বর দরকার হয়, নির্বাচনি অংশ 25 নম্বরে ৮ নম্বর দরকার হবে পাস করার জন্য। তবে যেখানে ৩০ নম্বরে
বহুনির্বাচনি হবে সেখানে ১০ নম্বর পেতে হবে পাশ করার জন্য। সৃজনশীল পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের ক্ষেত্রে পাস
করার জন্য 17 নম্বর দরকার হবে, আর ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষায় পাশ করার জন্য ২৩ নম্বর দরকার হবে।
পরীক্ষার সময় সম্পর্কিত তথ্য
পরীক্ষার সময় প্রদান করা হয় তিন ঘন্টা। তবে এখানে প্রথম দিকে ৩০ মিনিট অথবা 25 মিনিট বহুনির্বাচনি পরীক্ষা আয়োজন করে থাকে।
শিক্ষার্থীদের ঠিক সকাল দশটার দিকে তাদের বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র এবং প্রশ্নপত্র দিবে শিক্ষার্থীরা সেটা পূরণ করে জমা দিবে
শিক্ষকদের নিকট ঠিক 10:30 মিনিটের মধ্যে এরপরে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র দিয়ে দেওয়া হবে এবং
শিক্ষার্থীরা তাদের উত্তরগুলো খাতায় লিখবে। সৃজনশীল এবং নৈব্যক্তিক পরীক্ষার মধ্যে কোন প্রকার বিরতি শিক্ষার্থীরা পাবে না।
পরীক্ষার ফলাফলে অসন্তুষ্ট হলে করণীয়
যদি কোন শিক্ষার্থী তার পরীক্ষার ফলাফল অসন্তুষ্ট হয় সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থী চাইলে কিন্তু চ্যালেঞ্জ করতে পারবে।
কেননা অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা ভালো দিয়েও শিক্ষকদের গাফেলতির কারণে রেজাল্ট খারাপ করেছে।
এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী চাইলে বোর্ডের কাছে তাদের খাতা আরও একবার দেখার জন্য আবেদন করতে পারবে।
যাকে খাতা পুনরীক্ষণ অথবা খাতা চ্যালেঞ্জ বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আরো একবার দেখবে যদি শিক্ষার্থীর সঠিক হয়
অর্থাৎ শিক্ষক যদি ভুলক্রমে তাকে নাম্বার কম দেয় তাহলে সেগুলো সংশোধন করে দিবে এবং নতুন রেজাল্ট প্রকাশ করবে।
Leave a Reply