চলতি বছরের এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার রুটিন আবারও পরিবর্তন হতে পারে। কেননা রুটিন পরিবর্তন করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে।
এর আগে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করা হয়েছে। পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে
এই রুটিন পরিবর্তন করা হয় এবং বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা ১৩ এপ্রিল হওয়ার পরিবর্তে এখন ১৩ই মে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনঃ SSC 2025 New Routine PDF Link
অন্যদিকে রুটিন পরিবর্তনের ব্যাপার নিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
তারা বলেছে আগামী ২০ এপ্রিল এসএসসি ২০২৫ আবশ্যিক গণিত বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষার দিন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠান অর্থাৎ ইস্টার সানডে।
এই সময় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে বিলম্ব না সম্মুখীন হতে পারে। তাই পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তন করতে হবে
এবং এসএসসি পরীক্ষার গণিত বিষয়টি পরবর্তীতে যে কোন সুবিধাজনক অবস্থায় নেওয়া যেতে পারে বলে তারা অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে।

আরও পড়ুনঃ যে ৮ টি উপায় এসএসসি A+ রেজাল্ট পাওয়া যাবে
খ্রিস্টান ধর্মলম্বীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাথলিক শিক্ষা বোর্ডের নিকট এই চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয় স্টার সানডে দিনে
এসএসসি পরীক্ষা অসন্তোষ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। রুটিন পেয়ে খ্রিস্টান এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিচলিত হয়ে পড়েছে বলেও
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। ২০ এপ্রিল গণিত এসএসসি ২০২৫ অন্য কোন তারিখে পূর্ণ বিবেচনা করার অনুরোধ করছি বলে তারা জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা কোন সিলেবাসে ?
এছাড়া ক্যাথলিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলাদেশের ৬০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এছাড়া অন্যান্য খ্রিস্টান প্রতিষ্ঠান মধ্যে 50 টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠিটি গ্রহণ করল এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন কিছুই জানায়নি। যেহেতু পাহাড়ি সংগঠনের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।
সেক্ষেত্রে এই বিষয়টিও মেনে নেয়া হতে পারে বলে ধারণা করছে শিক্ষা বিশ্লেষকগণ। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানাবে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রুটিন নতুন করে প্রকাশ করা হয় সংশোধিত রুটিনে ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং বাংলা দ্বিতীয় পত্র পিছিয়ে নেয়া হয়েছে।
এখন আবার গণিতের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সমস্যা এমন সিদ্ধান্ত আসবে কিনা তার অপেক্ষায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুনঃ সুখবরঃ ৬ লাখ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবে চলতি বছর

My goal is that no student should be disadvantaged due to lack of information. Education should be for everyone.