এসএসসি ২০২৫ আন্দোলনের ঘোষণা: দাবিগুলো হলো

মাধ্যমিক পর্যায়ে এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষা বর্তমানে শেষ হয়েছে। এখন ব্যবহারিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে। তবে এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনের।

ইতিমধ্যে শোভন স্টাডির কাছে অনেক শিক্ষার্থী তাদের আন্দোলনের দাবি সম্বলিত কয়েকটি ডকুমেন্ট পাঠিয়েছে।

যেখানে জানিয়েছে তাদের দাবি গুলো কি রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তাদের দাবিগুলো সম্পর্কে অবগত করার জন্য ইতিমধ্যে তারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুনঃ আন্দোলনে যাচ্ছে এসএসসি ২০২৫ শিক্ষার্থীরা: কিন্তু কেন ?

একাধিক এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীর বরাতে জানা যায় চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে।

মূলত দুইটি দাবীকে ঘিরে ইতিমধ্যে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ১৭ই মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচির হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দাবি সমূহ হলঃ

  • সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি মিলিয়ে পাশ নম্বর নির্ধারণ করতে হবে।
  • সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা সিস্টেম চালু করতে হবে।

দাবিগুলো প্রসঙ্গে একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানায় সৃজনশীল বহুনির্বাচনি মিলিয়ে পাশ করার বিষয়টি নতুন নয়।

২০১৬ সাল পর্যন্ত এই নিয়ম চলমান ছিল। তারপরে নিয়ম পরিবর্তন করা হয়। আমরা চাই আমাদের থেকে এই নিয়মটি পরিবর্তন করে সংশোধন করা হোক।

আরও পড়ুনঃ SSC Result 2025 Published Date – কবে রেজাল্ট দিবে ?

কেননা কোন শিক্ষার্থীর যে কোন একটি অংশ ফেল করলে তার পুরো সাবজেক্টে ফেল দেখা এবং তাকে পুরো একটা বছর অপেক্ষা করতে হয়।

অনেক শিক্ষার্থী এক দুই নম্বরের কারণে ফেল করে এবং বিশেষ করে বহুনির্বাচনের অংশ অনেকেই পাস করতে পারে না।

যার কারণে এই ফেলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং অনেক শিক্ষার্থীর জীবন অনিশ্চিতদের মধ্যে পড়ছে।

তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা দাবি জানাচ্ছি সৃজনশীল নৈব্যক্তিক একত্রে পাশ নম্বর নির্ধারণ করা হোক।

অন্যদিকে সাপ্লিমেন্টারি সিস্টেম পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষা থেকে সাপ্লিমেন্টারি সিস্টেম চালু করা হোক।

আরও পড়ুনঃ এসএসসি ২০২৫ গনিত খাতায় রেজাল্ট কেমন ? ফেল বেশি নাকি কম ?

বোর্ড চ্যালেঞ্জের বিষয়টি বাদ দিয়ে সেই জায়গায় সাপ্লেমেন্টারি সিস্টেম চালু করা হোক। যে সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উপস্থিত হতে

পারেনি অথবা পরীক্ষায় ফেল করছে তারা সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে পারবে এমন সুযোগ করে দেয়া হোক।

কারণ অনেক শিক্ষার্থী এই সাপ্লিমেন্টারি ব্যবহার করে, তার শিক্ষা জীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আর নয় তাদের পড়াশোনা থেমে যাবে

এক বছরের গ্যাপ পড়ে গেলে অনেক শিক্ষার্থী বিপদে চলে যায়। যা সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর।

Leave a Reply