বর্তমানে এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরীক্ষা শেষ হতে না হতে আন্দোলনের চিন্তা ভাবনা করছে শিক্ষার্থীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তাদের আন্দোলন নিয়ে অগ্রগতি। যেখানে তারা আগামী ১৭ই মে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এসএসসি ২০২৫ খাতা দেখা নিয়ে যা বলছে শিক্ষক
আন্দোলনকৃত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায় চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে তারা পড়েছে।
এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অভিযোগ করছে এবং এর সমাধান চাচ্ছে।
শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দুইটি দাবি করছে। দাবিগুলো হলঃ
- সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা সিস্টেম চালু করতে হবে
- সৃজনশীল এবং বহুনির্বাচনি মিলিয়ে পাশ দিতে হবে
দাবিগুলো প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীর সাথে আলাদা আলাদা করে কথা বলে জানা যায় সাপ্লিমেন্টারি সিস্টেম নিয়ে শিক্ষার্থীরা অনেকটাই আশাবাদী।
তারা বলছে বর্তমানে শিক্ষা সংস্কার কমিশন বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে কাজ করছে।
আমরা তাদের কাছে দাবি করছি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি করছি তারা যেন সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার সিস্টেম চালু করে।
আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে সাপ্লিমেন্টারি সিস্টেম চালু রয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ে তা চালু নেই।
আরও পড়ুনঃ এসএসসি সৃজনশীল নৈব্যক্তিক মিলিয়ে পাশ দেওয়া কি সম্ভব ?
অনেক শিক্ষার্থী কোন কারণেবশত ফেল করলে তাকে অপেক্ষা করতে হয় একটি বছর। যদি সাপ্লিমেন্টারি সিস্টেম ব্যবস্থা চালু করা হয় তাহলে
লাখ লাখ শিক্ষার্থী তাদের ভবিষ্যত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। কেননা বর্তমান ব্যবস্থায় প্রতিবছরই কিছু না কিছু শিক্ষার্থী ফেল করে।
যার মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে যায়। কিন্তু সাপ্লিমেন্টারি সিস্টেম চালু করলে সেই সকল শিক্ষার্থীরা আরো একটি ভরসার জায়গা পাবে।
অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনা অথবা উত্তীর্ণ হতে পারে না তাদের জন্য খুবই কার্যকরী হবে এই ব্যবস্থা।
পরীক্ষায় সৃজনশীল এবং বহুনির্বাচনি দুইটি অংশ মিলিয়ে পাশ দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান এই নিয়মটি বিগত অনেক বছর আগে থেকে চলে আসছে।
কিন্তু 2017 সালে এসে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিষয়টি বাতিল করে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন নিয়ম করে সৃজনশীল
এবং বহুনির্বাচীন অংশে পৃথকভাবে শিক্ষার্থীদের কে পাস করতে হবে। যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী কোন একটি নির্দিষ্ট অংশ
অনেক ভালো করার পরও অন্য একটি অংশ খারাপ করলে শিক্ষার্থী ফেল করে। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়টিও সমাধান করতে হবে
এবং চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা থেকেই সৃজনশীল বহুনির্বাচনী একত্রে পাশ দেওয়ার বিষয় গ্রহণ করতে হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ এসএসসি ২০২৫ থেকে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালুর দাবি শিক্ষার্থীদের
তবে এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন নিয়ে কথা বলল আনুষ্ঠানিকভাবে
এখন পর্যন্ত সরাসরি কোন প্রকার আন্দোলনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আগামী ১৭ তারিখে আন্দোলনের কথা বলছে তারা।
অন্যকে দিকে শিক্ষা বিশ্লেষকগণ বলেন পাবলিক পরীক্ষার সাপ্লিমেন্টারি সিস্টেম চালু করা উচিত। এছাড়া সৃজনশীল বহুনির্বাচনি অংশে মিলিত করে পাশ দেওয়ার বিষয়টিও যুক্তিসঙ্গত।

মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সকল তথ্য পেতে যুক্ত থাকুন Shovon Study সাথে।
হুম আমি একমত
Ami o ak mot🤲😌
আমার কথা মতো,আসা করি আমার আসা,আমার দাবি,পূরণ হতে যাচ্ছে.
আমাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত
সহমত
আমি একমত না। কারন তারা এমসিকিউ এ ১০ পাবে না একজন ভালো স্টুডেন্ট তা কখন হতে পারে না। যারা ফেল করবে তারা কখন স্কুলে যাইনি। যারা পড়াশুনা করে নাই তাদের ফেল করাই উচিৎ। এটা নাহলে পরবতিতে কেউ পড়তেই বসবে না
পাস মার্ক ৬০% করে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করলে ভালো হবে। পরীক্ষা রাখা হয় কোয়ালিটি যাচাই করে পরের স্তরে উত্তরণের জন্য। যদি পরীক্ষার মাধ্যমে কোয়ালিটি যাচাই করা সম্ভব না ই হয়, তবে পরীক্ষার সিস্টেম বাতিল করতে হবে। তাতে সময় এবং অর্থ উভয়ই বেঁচে যাবে।