ইতিমধ্যে এসএসসি ২০২৫ রুটিন পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আবারও রুটিন পরিবর্তন হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম ধাপে এসএসসি রুটিন প্রকাশ করে গত 12 ডিসেম্বর।
এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়া একটি অনেক আগেই তারা রুটির প্রকাশ করেছিল। আগামী দশ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরে এসএসসি ২০২৫।
আরও পড়ুনঃ দারুন সুখবর এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে – SSC Exam 2025
এরমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ড। তবে হুট করেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত রুটিনের বিপরীতে
পাহাড়ি ছাত্র সংগঠন দাবি করে এপ্রিল পরীক্ষা বাংলা ২য় পরীক্ষায় আয়োজন করার দিনে তাদের ধর্মীয় উৎসব রয়েছে
এবং ধর্মীয় উৎসবের দিনে তারা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে চায় না। এ বিষয়ে তারা জেলা প্রশাসক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং মানববন্ধন করে।
পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রুটিন পরিবর্তন করা হয় এবং বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার ১৩ এপ্রিলের পরিবর্তে
একদম শেষে ১৩ই মে আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে এবং সে সম্পর্কিত নতুন রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ এসএসসি ২০২৫ কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ – সকল বোর্ড
এখন বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে ২০ এপ্রিল গণিত পরীক্ষার দিনে তাদের রয়েছে ইস্টার
সানডে রয়েছে। ওই সময় তারা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে
তারা অনুরোধ করেছে ঐ সময় পরীক্ষা আয়োজন না করার এবং বিকল্প কোনো সময়ে গণিত পরীক্ষা নেওয়ার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে খ্রিস্টান ধর্মীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে তারা রুটিন পরিবর্তন করার বিষয়টির উপরে জোর দিয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানাইনি তারা এ ব্যাপারে কি করতে চায়।
হয়তো বা খুব শীঘ্রই তারা জানাবে পরীক্ষা রুটিন তারা পরিবর্তন করবে কিনা। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
কয়েক হাজার করে শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তাদের নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি স্কুল পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ৪ টি আপডেট তথ্য এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে
রুটিন পরিবর্তনের ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলছেন যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রুটিন পরিবর্তন করে তাহলে যেন তারা দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
কেননা পরীক্ষার আগ মুহূর্তে বিষয়গুলো নিয়ে আন্দোলন অথবা তখন রুটিন পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
এটা তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতি খারাপ হবে। তাই আমাদের রুটিন পরিবর্তনের বিষয়টি আগেই জানিয়ে দেওয়া উচিত।


My goal is that no student should be disadvantaged due to lack of information. Education should be for everyone.