এসএসসি অনেক শিক্ষার্থীর দাবি করছে সৃজনশীল নৈব্যক্তিক মিলিয়ে পাশ দিতে হবে। কেননা অনেক শিক্ষার্থী সৃজনশীল ভালো কোন নৈব্যক্তিক খারাপ করেছে অথবা নৈব্যক্তিক ভালো করলেও সৃজনশীল খারাপ করেছে।
এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা পাশ করা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। মূলত শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিগত কয়েক বছর আগে চালু করে আলাদা আলাদা পাস করার নিয়ম।
যেখানে একজন শিক্ষার্থীকে সৃজনশীল বহুনির্বাচনী এবং ব্যবহারিক অংশে আলাদা আলাদাভাবে পাশ করতে হবে।
কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন কথা বলছে। অনেক শিক্ষার্থী এই নিয়মের কারণে ফেল করছে, একজন ভালো শিক্ষার্থী সবগুলো পরীক্ষা
অনেক ভালো ভাবে দিলও একটি পরীক্ষায় কোন একটি অংশে পরীক্ষা খারাপ হলে তখন তার পুরো সাবজেক্টই ফেল চলে আসে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৭ এর পরে
এই নিয়ম চালু করে। এর আগে নৈব্যক্তিক এবং সৃজনশীল একত্রে ৩৩ নম্বর পেলেই শিক্ষার্থী পাস করতে পারতো।
এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা দাবি করছে তাদের পাশ নম্বর সৃজনশীল এবং বহুনির্বাচনি একত্রে নির্ধারণ করা হোক।
অনেক শিক্ষার্থী এই একটি কারণে ফেল করছে এবং তাদের জীবন থেকে মূল্যবান একটি বছর নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার দাবি ও করছে।
তবে এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি। এসএসসি পরীক্ষার রুটিন
বিশেষ নির্দেশনায় ৭ নম্বর পয়েন্টে সৃজনশীল বহুনির্বাচনী এবং ব্যবহারিক অংশে আলাদা আলাদা পাস করার বিষয়ে জানানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছে আমরা সবগুলো সাবজেক্টে ভালো ফলাফল করলে কোন দুর্ঘটনার কারণে একটি সাবজেক্টে
কোন একটি অংশে এক নম্বরের কারণে ফেল করলে তাহলে আমাদের সম্পূর্ণ সাবজেক্ট ফেল চলে আসে।
এ বিষয়টি অনেকটাই অমানবিক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে এ বিষয়টি সমাধান করা এবং সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা।

My goal is that no student should be disadvantaged due to lack of information. Education should be for everyone.