শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আগামী 11 সেপ্টেম্বর এইচএসসি ২০২৪ আবার শুরু করছেন। তবে এই জায়গায় শিক্ষার্থীরা বর্তমানে অনেক দ্বিধা দ্বন্দ্ব মধ্যে রয়েছে।
কি করা দরকার তাদের এটা অনেক শিক্ষার্থী বুঝতেছে না, তাদেরকে আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। যে বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা অনুসরণ করতে পারেন।
বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরীক্ষা আয়োজন করার জন্য সকল চেষ্টা করছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের একটি বড় পক্ষ দাবি করছে অটোপাশের।
আরও পড়ুনঃ
- HSC 2024 New Routine – 11 September Start
- ২০ তারিখে মধ্যে সাবজেক্ট ম্যাপিং এইচএসসি ২০২৪ চায় শিক্ষার্থীরা
- ১১ সেপ্টেম্বর এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষা শুরু
- অটোপাশের দাবিতে আন্দোলন করছে এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষার্থীরা
তবে এই জায়গায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত অটো পাস প্রসঙ্গে কোনো কিছুই জানায়নি, তারা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য
প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং রুটিন ও প্রকাশ করেছে। অনেক শিক্ষার্থী এই রুটিন প্রত্যাহার করেছে বয়কট করেছে
এবং তারা বলছে তার আন্দোলন করবে যাতে করে তাদেরকে অটো পাস দেয়া হয়। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তারা বলে আমরা কিছু যৌক্তিক বিষয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় কে জানানোর চেষ্টা করেছি।
কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের যৌক্তিকতার কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না, তারা তাদের পরীক্ষা রুটিন প্রকাশ করছে
এবং এইচএসসি ২০২৪ আয়োজন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা পরীক্ষা বয়কট করছি, কারণ আমরা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে চাই না।
আমরা চাই এই মুহূর্তে আমাদেরকে দেয়া হোক, কারণ আমরা অনেক শিক্ষার্থী আন্দোলনে কি অসুস্থ হয়েছে।
অনেকে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, অনেকে কারাগারে ছিল মানসিকভাবে অনেক শিক্ষার্থী ভেঙে পড়েছে।
সব মিলিয়ে আমরা পরীক্ষা দেওয়ার মত পরিবেশ নেই। এক্ষেত্রে আমরা চাই আমাদের সকল পরীক্ষা বাতিল করে অটো পাস দেয়া হোক,
যে পরীক্ষাগুলো হয়েছে সে পরীক্ষাগুলো মূল্যায়ন করা হোক এবং যে পরীক্ষাগুলো হয়নি, সে পরীক্ষাগুলো তারা এসএসসি এর মাধ্যমে মূল্যায়ন করুক।
আমাদের পরামর্শ
আন্দোলন করার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে উৎসাহ বা নিউৎসাহ করতে পারিনা।
তবে একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে পরীক্ষা আয়োজন করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছেন। যদি কোন কারণে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ব্যর্থ হয়,
তাহলে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পড়াশোনায় ফিরে যেতে হবে। কিন্তু আন্দোলন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকেই পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে,
তাই শিক্ষার্থীদেরকে পরামর্শ দিব তোমরা পড়াশোনা করো তার পাশাপাশি আন্দোলন করে যেতে পারো।
যদি কোন কারণে আন্দোলন সফল হয় তাহলে খুবই ভালো, এই পড়াশোনা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে কাজে লাগাবে
আর যদি আন্দোলন বিফলে যায় তাহলে তোমরা পড়াশোনা ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে রুটিন অনুযায়ী
পড়াশুনা শুরু করে দিয়েছে এবং তারা চাচ্ছে আগামী দিনে সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে। যাতে করে তারা ভালো রেজাল্ট করতে পারে,
আবার অনেক শিক্ষার্থী আন্দোলন করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই জায়গায় আন্দোলন করার পাশাপাশি কিছুটা বই নিয়েও পড়াশোনা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Leave a Reply