একজন শিক্ষার্থী যখন এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে এরপর সে উচ্চশিক্ষা লাভের উদ্দেশে ভবিষ্যতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার জন্য চেষ্টা করে। এসএসসি পর কোথায় ভর্তি হবে ?
বর্তমানে শিক্ষার্থীর হাতে অনেক ধরনের অপশন থাকলোও সঠিক অপশন কোনটি, কোন জায়গায় শিক্ষার্থীর ভর্তি হওয়া উচিত তা অনেক জানে না।
SSC Exam GPA System | A+ A A- B C D
আজকে আমরা আলোচনা করব শিক্ষার্থীরা কোথায় ভর্তি হতে পারে। তাদের এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে এসএসসি রেজাল্ট
প্রকাশ হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় ভর্তি হওয়া নিয়ে দৌড়াদৌড়ি।অভিভাবক পিতা মাতা বলে এখানে ভর্তি হও আবার নিজের ইচ্ছা অন্যদিকে ভর্তি হওয়ার।
এই জায়গায় সঠিক অপশন কোনটি তা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। মূলত এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে শিক্ষার্থীর তিনটি অপশন হাতে পায় ভর্তি হওয়ার জন্য। যেগুলো হলঃ
- এইচএসসি পর্যায়ে
- ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থাৎ পলিটেকনিক্যাল পর্যায়
- প্যারামেডিকেল পর্যায়ে
সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে আমরা প্রত্যেকটি অপশনে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে করে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এসএসসি পর কোথায় ভর্তি হবে ?
এইচএসসি পর্যায়
এইচ এস সি পর্যায়ে যদি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে চায় তাহলে তাকে কলেজ ভর্তি কার্যক্রমের অংশগ্রহণ করতে হবে।
সহজভাবে শিক্ষার্থী তার রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে কলেজে ভর্তি হতে হবে। তার কোন আলাদা টেনশন নেই,
কিন্তু কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে কিন্তু শেষ না। এরপরও আরও অনেক কিছু রয়েছে। একাদশ দ্বাদশ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে হবে
এবং মূল এইচএসসি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তার এইচএসসি পর্যায়ে কার্যক্রম শেষ করবে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এরপর শুরু হবে মূল খেলা।
যেখানে শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে হবে, ভালো একটি সাবজেক্টে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হলে শিক্ষার্থীর জীবন অনেক ভালো হবে।
এখানে বলে রাখি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবজেক্টের কথা, যার মধ্যে রয়েছে মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং নার্সিং অনার্স।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে। এইচএসসি শিক্ষার্থী ভর্তি হয় তাহলে তাকে অনেক দিন
পড়াশোনার মধ্যেই থাকতে হবে। কারণ এইচএসসি শেষ হবে দুই বছর, এরপরে আরও চার বছর লাগবে বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স শেষ করতে।
তারপর আবার মাস্টার্স শেষ করতে অন্ততপক্ষে এক বছর লেগে যাবে। সর্বমোট ৭ থেকে ৮ বছর লাগবে পড়াশোনা শেষ করতে।
তারপর শিক্ষার্থী চাকরির সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে চাকরির সুযোগের কথা যদি সামনে আসে তাহলে প্রথমে আসে সরকারের বিভিন্ন চাকরি।
যেখানে বিসিএস ক্যাডার থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন অফিসে চাকরির সুযোগ রয়েছে চাকরি পরীক্ষার মাধ্যমে।
তাছাড়া প্রাইভেট সেক্টর ও ভালো চাহিদা রয়েছে, তবে এখানে শিক্ষার্থীকে ভালো ফলাফল করে নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।
যেমন তেমন পড়াশোনা করলে এখানে কোন কিছুই করা যাবে না, হয় অনেক ভালো পড়াশোনা করতে হবে আর নয়তো পড়াশোনা না করাই ভালো।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং অর্থাৎ পলিটেকনিক্যাল পর্যায়
পলিটেকনিক্যাল পর্যায় শিক্ষার্থী সরকারি বেসরকারি দুটি আলাদাভাবে ভর্তি হতে পারবে। অনেক শিক্ষার্থী সরকারী তে চান্স পায় আবার
অনেক শিক্ষার্থী সরকারিতে চান্স না পেয়ে পরবর্তীতে বেসরকারিতে ভর্তি হয়। এই জায়গায় সরকারিতে পড়াশোনা করলে খরচ কম অনেক কিছু শেখা যায়।
বেসরকারি ক্ষেত্রে একটু বেশি শেখার সুযোগ খুবই কম, হাতে-কলমে শেখানোর মাধ্যমে পলিটিক্যাল এর বিষয়টি সামনে আসে।
এ ক্ষেত্রে পলিটেকনিকালে সাবজেক্ট ভিত্তিতে ভর্তি হতে হয়। এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্দর সুন্দর সাবজেক্ট রয়েছে।
যে সাবজেক্ট গুলোতে ভর্তি হওয়ার পরবর্তীতে শিক্ষার্থীকে ক্লাস করতে হবে এবং পড়াশোনা করতে হবে চার বছর মেয়াদে কারিগরি বোর্ডের
অধীনে এই করছে শিক্ষার্থী অনেক কিছু শিখতে পারবে। এভাবে চার বছর শেষে পাস করার পরবর্তীতে চাকরি ক্ষেত্রে অনেক ধরনের ভালো সুযোগ সুবিধা পেতে পারে।
তবে নির্ভর করে শিক্ষার্থীর নিজের উপরে, যদি ভালো ফলাফল করে এবং তার পারফরম্যান্স ভালো থাকে তাহলে খুব সহজেই
ভালো চাকরি পেয়ে যাবে। তবে এসএসসি পর্যায়ের মতো ফাস্ট ক্লাস চাকরি খুবই কম রয়েছে পলিটেকনিক্যাল সেক্টরে।
প্যারামেডিকেল পর্যায়
প্যারা মেডিকেলে যদি শিক্ষার্থী হতে চায় তাহলে তাকে এইচএসসি পরেও চেষ্টা করে যেতে পারে অথবা এসএসসি সম্পন্ন করেও প্যারামেডিকেলে ভর্তি হতে পারে।
অনেকে মনে করে নার্সিং ভর্তি মনে হয় প্যারা মেডিকেল কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল। নার্সিং হচ্ছে শেষ করে আলাদা
একটি কোর্স, যেখানে এইচএসসি শেষ করে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে এবং নার্সিং এর মধ্যে অনেক ভাগ রয়েছে।
প্যারামেডিকেলও বিভিন্ন সাবজেক্ট রয়েছে, সেই সাবজেক্টের উপর একটি শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হবে। সকল কার্যক্রম প্ররোচনা
করতে হবে এবং ভালো একটি রেজাল্টের মাধ্যমে পাস করতে হবে। তবে শিক্ষার্থী বিভিন্ন জায়গায় চাকরি সুযোগ পাবে, বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল সেক্টরের চাহিদা ব্যাপক।
কারণ প্রচুর পরিমাণ জনসংখ্যা হওয়ার কারণে অনেক মানুষ প্যারামেডিকেল হাসপাতালে চাহিদা অনেক বেশি এবং সেখানে প্যারামেডিকেল অনেক বেশি।
সর্বশেষ শিক্ষার্থী কোথায় ভর্তি হবে সেটা সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীর নিজের ব্যাপার। তবে ভবিষ্যতে কোথায় চাহিদা থাকবে সে বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত।
হাতে-কলমে শেখা বা কোন একটি সম্পর্কে নিজেকে অভিজ্ঞ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র পড়াশুনা করলেই হবে না,
নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে প্রতিযোগিতামূলক দুনিয়া টিকে থাকার জন্য। তাই পলিটেকনিক্যাল এবং ডিপ্লোমা বর্তমান শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি বেছে নেয়।
তারপরও সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসি লেভেলে পড়াশোনা করে, তার কারণ হচ্ছে এইচএসসি লেভেলে পড়াশোনার মান
মোটামুটি ভালো এবং একজন শিক্ষার্থী শিক্ষিত হতে গেলে এইচএসসি পর্যায়ে খুবই ভালো। যদি তার চিন্তাভাবনা থাকে চাকরি
করার তাহলে তার বাস্তব ধর্মের পড়াশোনা করতে হবে। খুব সহজে সে চাকরি পেয়ে যাবে। একটা কথা সব সময় জন্য বলব
যদি পড়াশুনা করতে হয় তাহলে খুব ভালোভাবে করো যাতে করে, তোমার রেজাল্ট তোমার চাকরি এমনিতেই এনে দেয়।
Leave a Reply