পরীক্ষায় ভালো ফলাফল
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল

কিভাবে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা যায় ?

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল এবং টিপস শিক্ষার্থীদের মাথায় রাখতে হবে। যে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করব।

অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা কিনা পরীক্ষায় প্রস্তুতি দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকলেও পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিলম্বনার মধ্যে পড়ে

এবং পরবর্তীতে তাদের রেজাল্ট খারাপ হয় তাদের জন্য। এই কৌশল গুলো সবচেয়ে বেশি কাজে দিবে, তাই সম্পূর্ণ পোস্ট করুন এবং এই বিষয়গুলো জেনে নিন। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল

আরও পড়ুনঃ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখার সঠিক নিয়ম ২০২৫

১. আত্মবিশ্বাসী হও

পরীক্ষা দিতে গেলে অনেক শিক্ষার্থী ভেঙে পড়ে, মনের মধ্যে একটি ভয় কাজ করে। আত্মবিশ্বাসী কমতি সুস্পষ্ট হয়।

শিক্ষার্থীদেরকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, মনে রাখতে হবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। তবে এর মানে এই নয় যে এটাই জীবনের শেষ পরীক্ষা।

স্কুলের অথবা কলেজের আর দশটি পরীক্ষার মধ্যে কোন এই পরীক্ষায় ইনজয় করতে হবে, আলাদাভাবে কোন প্রকার

টেনশন নিতে হবে না, শান্ত থাকতে হবে ও দীর্ঘশ্বাস নিতে হবে এবং ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

২. প্রশ্ন পড়া

পরীক্ষায় প্রশ্ন আসার সাথে সাথেই অনেকে লেখা শুরু করে, এটা মোটেই করা ঠিক হবে না। আগে পুরো প্রশ্ন শুরু

থেকে শেষ পর্যন্ত একবার ভালো করে পড়ে নিন। বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত

একবার পড়ার মধ্যে যদি কোনোটা খুবই বেশি কমন পড়ে, যায় তাহলে সাথে সাথে ভরাট করে ফেলতে পারেন।

আর সৃজনশীল প্রশ্নের ক্ষেত্রে পুরোটাই ভালো করে পড়ে নিতে হবে এবং জেনে নিতে হবে কি কি আছে প্রশ্নে।

কারন অনেক সময় আমরা ধারণা করে প্রশ্ন আমাদের খুবই ভালো এসেছে, পরে যখন লিখতে যায় তখন প্রশ্ন কেমন পড়েনি

তখন আরো অবস্থা খারাপ করে ফেলে, তাই এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে এবং প্রশ্ন পুরোটা পড়ে নিতে হবে।

৩. সময় ভাগ করে নেওয়া

এক মার্কের জন্য কত মিনিট সময় পাবে, ১০ মার্কের জন্য কত মিনিট সময় পাবে 20 মার্কের জন্য কত মিনিট

সময় পাবে সে বিষয়গুলো আগেই ভাগ করে নিতে হবে। এ বিষয়গুলো পরীক্ষার আগে বাসায় বসে চিন্তা ভাবনা

করলে ভালো হবে। এতে করে পরীক্ষার সময় আলাদাভাবে টাইম দিতে হবে না, তবে সময় অনুযায়ী লিখতে পারলে

ভালো ফলাফল করা সম্ভব। কেননা একটি প্রশ্ন অতিরিক্ত সময় নিয়ে অন্য একটি প্রশ্ন না লেখা বোকামির কাজ।

৪. কোন জায়গায় আটকে গেলে পরবর্তী প্রশ্ন যাও

সকল শিক্ষার্থীর সব প্রশ্ন কমন পড়বে না, আবার কমন পাওয়া প্রশ্ন লিখতে গেলে বিভিন্ন জায়গায় আটকে যেতে পারে।

এ কারণে শিক্ষার্থীদের উচিত হবে একটি জায়গায় যদি আটকে যায় তাহলে ওই জায়গাটা ফাঁকা রেখে পরবর্তী প্রশ্নের জন্য চলে যাওয়া।

সময় নষ্ট না করা পরবর্তীতে যদি আবার প্রশ্নের উত্তর মনে পড়ে তাহলে এসে সেটা লেখা।

৫. বানান ঠিক রাখা

শুরুর দিকের বানান বিশেষভাবে নজরে আসে শিক্ষকের, তাই শুরুর দিকে বানানগুলো এবং গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলোর বানান সঠিক হতে হবে।

কোন প্রকার ভুল বানান দেবা যাবেনা, যদি কোন কারণে ভুল বানান হয়ে যায় তাহলে সেটি এক অথবা দুইটি দাগ

দিয়ে কেটে পরবর্তী অংশ সুন্দর করে বানান লিখতে হবে। বানানোর দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার কথা বলেছে

শিক্ষকরা, কেননা অনেক সময় এই বানান বেশি ভুল হয়ে গেলে শিক্ষক কিছু মার সম্পূর্ণ উত্তর লেখার পর কিছু মার্ক রাখে।

৬. পরীক্ষার মাঝে পানি খাওয়া

পরীক্ষার সময় মাঝেমাঝে পানি খেলে গলা পরিষ্কার থাকে মস্তিষ্কে ক্লান্তি দূর হয়, শরীরে ক্লান্তি দূর হয়।

তাই মাঝে মাঝেই পরীক্ষার মধ্যেই পানি খেতে হবে, তবে পেট ভরে পানি খাওয়ার দরকার নেই অল্প করে গলা ভেজালে যথেষ্ট।

৭. পরীক্ষার সরঞ্জামাদি

পরীক্ষার সরঞ্জামাদি সাথে নেওয়া, স্কেল কলম ক্যালকুলেটর রাবার পেন্সিলসহ যা দরকার তা অবশ্যই সাথে নিয়ে

যেতে হবে। কারো কাছ থেকে ধার করে নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া খুবই বিব্রতকর এবং বিরক্তিকর। কেননা অনেক সময় এইসবের জন্য

এই সময় চলে যায় বা কারো অপেক্ষায় করতে করতে প্রশ্ন ভুলে যেতে হয়। তাই নিজের সকল জিনিস নিজে

পরীক্ষা দিতে হবে, নিয়ে নিজেই পরীক্ষা দিতে হবে এবং বন্ধু বান্ধব কেউ যদি এই বিষয়গুলো চায়।

তাদেরকে এড়িয়ে যেতে হবে এবং তাদেরকেও পরামর্শ দিতে হবে তারা যেন পরীক্ষা নিজেদের জিনিসপত্র নিজেরাই নিয়ে যায়।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *