জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলতি বছরে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে। ইতিমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ প্রকাশ করেছেন।
কিন্তু ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অনেকেই পরীক্ষার ব্যাপারটি এখনো বুঝছে না। কেননা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন প্রকার পরীক্ষার সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি, এমনকি তারা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ও প্রকাশ করেনি।
আরও পড়ুনঃ ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অনুদান আবেদন করুন ২০২৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক কর্মকর্তা এর আগে জানিয়েছে ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে তারা একমত পোষণ করেছে
এবং তাদের সিনেট সভায় পরীক্ষা আয়োজন করার ব্যাপারে মতামত এসেছে। জাতীয়র বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনায় মান উন্নয়নে
ভর্তি পরীক্ষা চালু করার বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরে কথা বলছিল, সর্বশেষ নতুন উপাচার্য ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি সামনে আনেন
এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি পরীক্ষা চালু করা হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
পরীক্ষায় দায়িত্ব একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৬৪ জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হবে।
যাতে করে শিক্ষার্থীরা সহজে পরীক্ষা দিতে পারে। এছাড়া এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় আয়োজন করার কথা বলা হয়েছে।
কারণ অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিবে, এই পরিস্থিতিতে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পরিবেশ এবং সক্ষমতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে হয়ে ওঠেনি।
এ কারণে তারা চেষ্টা করছে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষায় আয়োজন করার। এক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা কবে হবে,
এমন প্রশ্নের জবাবে দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা জানিয়েছে এখন পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে,
তখন এ বিষয়গুলো জানা যাবে। তবে সম্ভাব্য সময় হিসেবে আগামী মে মাসে শুরুর দিকে পরীক্ষা শুরু করে পরিকল্পনা রয়েছে।
তাদের কয়েকটি পরীক্ষা বিভিন্ন তারিখের মধ্যে হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়র থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার মাধ্যমে সুস্পষ্ট করা হবে,
পরীক্ষা সকল বিষয় ওই কর্মকর্তা আরো জানিয়েছে ভর্তি পরীক্ষা মানবন্টন পরিবর্তন আসবে। গ্রুপ পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আসবে।
এছাড়া বর্তমানে যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিতে, তার সাথে মিল রেখে কিছু কিছু বিষয়ে পরিবর্তন দ্বারা করবে।
কেননা সর্বশেষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়র ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছিল ২০১৪-১৫ সেশনে, এর পরে আর কোন সময় পরীক্ষা আয়োজন করা হয়নি।
বিগত কয়েকটি বছর শুধুমাত্র এসএসসি এবং এইচএসসির জিপিএ উপর নির্ভর করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়ার সুযোগ পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
My goal is that no student should be disadvantaged due to lack of information. Education should be for everyone.