বোর্ড পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কৌশল গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার। শিক্ষার্থীরা যদি এই কৌশল গুলো মেনে নিয়ে পড়াশোনা করে তারা খুব ভালো ফলাফল করতে পারবে।
মূলত স্কুল কলেজে আয়োজন করা পরীক্ষা এবং বোর্ডের আয়োজন করা পরীক্ষার মধ্যে অনেক তফাৎ থাকে।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে পরীক্ষার পরিবেশ এবং পরীক্ষার প্রশ্ন, তার সাথে পরীক্ষকদের আচরণ।
আরও পড়ুনঃ সমন্বিত উপবৃত্তি নতুন ফরম প্রকাশ হলো প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট
কলেজে অথবা স্কুলে পরীক্ষা হলে শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে চিনে থাকে, যার কারণে খুবই স্বাভাবিক একটি পরিবেশ পরিলক্ষ করা যায়।
কিন্তু বোর্ড পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন শিক্ষক দায়িত্বে থাকবেন কেমন প্রশ্ন আসবে সব বিষয়গুলো অজানা এবং পরীক্ষার
কেন্দ্র সম্পর্কে অজানা থাকে। যার কারণে থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে না।
এক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কৌশল তাকে সহযোগিতা করতে পারেন চলুন আমরা দেখে নেই, কোন কোন কৌশল শিক্ষার্থীরা অবলম্বন করতে পারে।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা গঠন করে নিতে হবে। তবে পরীক্ষার ঠিক চারদিন আগে
তার সকল প্রস্তুতি রিভিশন শেষ করতে হবে এবং তিন দিন পূর্ব থেকে যে পরীক্ষা হবে সে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।
এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার কার্পণ্য করা যাবে না। যাতে করে শিক্ষার্থী ভালো পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য প্রতি সাবজেক্টে সমান সময় দিতে হবে।
যে পরীক্ষাগুলোতে বন্ধ কম অর্থাৎ পরীক্ষার মধ্যে বন্ধ কম পেয়েছে সেগুলো মূল পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
প্রস্তুতিমূলক কৌশল
ভালো রেজাল্ট প্রস্তুতি বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে নিয়ে থাকে। তবে কয়েকটি বিষয় সকল ভালো শিক্ষার্থীদের মধ্যে কমন তা হল
সুনির্দিষ্ট পরীক্ষার জন্য পরিকল্পিত রুটিন দৈনিক রুটিন দীর্ঘমেয়াদি রুটিন এবং সেই অনুযায়ী তাকে পড়াশোনা করতে হবে।
এর সাথে রিভিশন দেওয়ার পরবর্তী খুবই গুরুত্বপূর্ণ, শিক্ষার্থীর যাই পড়বে যতটুকুই পড়বে তা নিয়মিত রিভিশন দিতে হবে।
পরীক্ষা ঠিক আগ মুহূর্তে ভুল পদক্ষেপ
পরীক্ষা ঠিক আগ মুহূর্তে অনেক শিক্ষার্থী ভুলভাল কাজকর্ম করে থাকে স্বাভাবিকভাবে তারা এগুলো করবে, কেননা তারা বোর্ড পরীক্ষার আগে কখনো দেয়নি।
তবে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। কোন ভাবে পরীক্ষার আগে বেশি কথা বলা যাবে না, তাড়াহুড়া করা যাবে না,
হাতে পর্যন্ত সময় নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে আগে নিজের আসন খুঁজে নিতে হবে এবং
সেখানে পরীক্ষা দেওয়ার মত পরিবেশ আছে কিনা অর্থাৎ অনেক সময় দেখা যায় যে বেঞ্চে বসে শিক্ষার্থী লিখবে অথবা
যে বেঞ্চে সে বসবে সেটা নষ্ট থাকে অথবা নড়াচড়া করে সে বিষয়গুলো সমাধান করে নিতে হবে শিক্ষকদেরকে বলে।
ওএমআর শিট সম্পর্কিত সমস্যা
প্রতিটি পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী সৃজনশীল এবং নৈব্যক্তিক পূরণ করতে হবে। যেখানে রোল নম্বর রেজি নং এবং যাবতীয় সকল তথ্য দিতে হবে।
তবে মনে রাখতে হবে কোন তথ্য যেন ভুল না দেয়, সঠিকভাবে তথ্য দিয়ে তা ভরাট করতে হবে। তার সাথে কিভাবে সময়
বাঁচানো যায় সে বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। বিশেষ করে সৃজনশীল ও এম আর ফরম পূরণ করার জন্য
শিক্ষার্থীদের হাতে সময় খুবই কম থাকবে, অনেক শিক্ষার্থী আবার খাতার মধ্যে মার্জিন ব্যবহার করে থাকে।
তাদেরকে মাথায় রাখতে হবে দ্রুত যেন এই কাজগুলো শেষ করা হয় এবং মূল যে তিন ঘন্টার পরীক্ষা সেখানে যেন কোনো প্রভাব না পড়ে।
পরীক্ষার সরঞ্জাম সম্পর্কিত তথ্য
পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু বিশেষ শিক্ষার্থীদের কে নিয়ে যেতে হবে। যেমন তার তিন থেকে চারটি কলম
ক্যালকুলেটর স্কেল রুল রাবার ফাইল এডমিট কার্ড রেজিস্ট্রেশন কার্ড শিক্ষা থেকে সব সময় ব্যাকআপ প্ল্যান মাথায় রেখে আগাতে হবে।
কলম বেশি নিয়ে যেতে হবে, সবকিছু একটু বেশি নিয়ে যেতে হবে এবং কোন কিছু যদি শেষ হয়ে যায় সে বিষয়গুলো
যেন আগেই খোঁজখবর নিয়ে তার অতিরিক্ত গুলো নিয়ে যায়। কেননা পরীক্ষার সময় এই বিষয়গুলো নষ্ট হয়ে গেলে শিক্ষা অতিরিক্ত সময় নষ্ট হতে পারে।
পরীক্ষার সময় খাবার-দাবার
অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মস্তিষ্ক খাবার হজম করতে ব্যস্ত থাকে, তাই অতিরিক্ত খাবার খাবার কোন দরকার নেই।
স্বাভাবিক একটি দিনের মতো করে খাবার খেয়ে যেতে হবে। পরীক্ষা উপলক্ষে অনেক সময় পরিবার বা মা ভালো খাবার রান্না করে।
কিন্তু এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবারকে যে খাবারগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর যেমন এলার্জি রয়েছে অথবা ঠান্ডা লাগতে পারে জ্বর আসতে পারে।
এমন ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে পরীক্ষা এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখানে খাবার দাবারের মাধ্যমে কে মূল্যায়ন করে কোন দরকার নেই।
ভালো রেজাল্ট করলে অনেক খাওয়া যাবে বা পরীক্ষার পরেও অনেক খাওয়া যাবে কিন্তু পরীক্ষার সময় স্বাভাবিক কাটাতে হবে।
Leave a Reply