বর্তমান সময়ে শরীফ থেকে শরীফা গল্প নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শরীফ থেকে শরীফা গল্পের পরিবর্তন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
মূলত গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় শরীফ থেকে শরীফা গল্প নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল।
যেখানে বলা হচ্ছিল হিজরা অথবা তৃতীয় লিঙ্গ শব্দটির ব্যবহার করে ট্রানজেন্ডার উসকে দেয়া হচ্ছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের
একজন শিক্ষক বহিষ্কার করার কারণেও এ বিষয়টি আরো আলোচনা ছিল। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে
একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেখান থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে গল্পের ঠিক কতটা পরিবর্তন করা হবে এবং কিভাবে পরিবর্তন করা হবে।
গল্পের মূল বিষয়বস্তু ছিল শরীফ থেকে একজন মানুষ শরিফা হয়েছে এবং ক্লাস সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের কে তিনি সেই গল্পটি শুনেছেন।
এখানেই হিজরা অথবা তৃতীয় লিঙ্গ ইঙ্গিত করা হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ট্রানজিরা শব্দটি বোঝা যাচ্ছিল। যে কারণে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে পরিচিত শরীফ থেকে শরীফা গল্পটি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে
একজন অতিরিক্ত সচিব কে প্রদান করে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম নিয়ে গঠিত সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সব বই পর্যালোচনা ও ভুল চিহ্নিত করে তার সংশোধন করবে। আমরা আশা করছি আগামী মার্চের মধ্যে এই নতুন কমিটির সুপারিশ পাবো
এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে আমরা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। শরীফ থেকে শরিফা গল্পের দুটি লাইন বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংসদে।
Leave a Reply