তাপমাত্রা কত ডিগ্রি নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি হয় ?

তীব্র শীতের মধ্যে স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অনেকেই দাবি করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তীব্র শীতে বন্ধ রাখা হোক। তবে এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি বলছে তা নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব।

কত ডিগ্রী তাপমাত্রা থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে সে বিষয়ে জানাবো। আমাদের পাশের দেশ ভারতে

পশ্চিমবঙ্গে যখনই অতিরিক্ত শীত অথবা অতিরিক্ত গরম দেখা দেয় তারা স্কুল কলেজ অর্থাৎ একপ্রকার বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুনঃ তীব্র শীত – স্কুল কলেজ বন্ধ হবে ? কি শিক্ষা মন্ত্রণালয়

তবে ভিন্ন চিত্র আমাদের দেশে। গত বছরের সরকার থেকে সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যখন চলে

আসবে তখন স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করতে পারবে জেলা প্রশাসক, পরবর্তীতে তা নামিয়ে আরো কমিয়ে আরো রাখা হয় ১০° সেলসিয়াস।

কিন্তু দেখা যাচ্ছিল দশ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ার পরও অনেক জেলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি।

ওই পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারেনি। এমনকি অনেকে স্কুলে গিয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শীতকালীন বিভিন্ন রোগে তাকে কাবু করেছে।

তবে বর্তমান বছরে যেহেতু সরকার পরিবর্তন হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সঠিক একটি সমাধান হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ?

ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলায় তীব্র শিত দেখা দিয়েছে। সেখানে স্কুল কলেজে অনুপস্থিতির সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেড়েছে।

এক্ষেত্রে শিক্ষা বিশ্লেষক এবং অভিভাবকের দাবি করছে তাপমাত্রা জানানো হোক, যেখানে ওই জেলায় অথবা বিভাগে

তাপমাত্রা যদি কমে যায় তাহলে স্কুল কলেজ এমনিতে বন্ধ ঘোষণা করা হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশের

বিভিন্ন জায়গায় শীতের অবস্থা খুবই খারাপ হচ্ছে, ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকদিন ধরে সূর্যের আলো পৌঁছাচ্ছে না।

এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা সকাল বেলা স্কুলে যাচ্ছে শীতের মধ্যে আবার তীব্র শীতের মধ্যে বাড়ি ফিরছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে জানুয়ারি মাসে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে দেশের তাপমাত্রা। ইতিমধ্যে কয়েকটি জেলায় ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দেখা দিয়েছে বর্তমানে,

ঢাকা তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে রাতের বেলায় তাপমাত্রা আরও অনেক অংশে কমে যায়।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন প্রকার বৈঠক অথবা নির্দেশনা জানায়নি হয়তো বা তাপমাত্রা যদি ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি

সেলসিয়াস এর মধ্যে চলে আসে। তখন এ ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং জানাবে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নিতে চায়।

তবে শিক্ষার্থীর শিক্ষক এবং অভিভাবক শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাছে দায়িত্বশীল সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।

Leave a Reply