মাধ্যমিক পর্যায়ে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ আয়োজন করা হবে আগামী 10 এপ্রিল থেকে। কিন্তু বর্তমানে শীতে বেশ কয়েকটি ভাইরাস বাংলাদেশের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে রিও ভাইরাস ও এইচ এম পি ভি ভাইরাস। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
সুখবর – এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ নিয়ে
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বর্তমানে ভাইরাসটি আঘাত এনেছেন। বিভিন্ন জায়গায় সংক্রমণিত হচ্ছে সাধারণ জনগণ।
ইতিমধ্যে রিও ভাইরাসের সনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে পাঁচ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তথ্য জানানো হয়েছে, গত কয়েকদিন আগেই। এই সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।
রিও ভাইরাস এবং এইচএমপিভি ভাইরাস মানুষের শরীরে স্পর্শ করা হাঁচি কাশি মাধ্যমে এই ভাইরাসগুলো ছড়িয়ে থাকে
এবং বিশেষ করে এই ভাইরাসের সংক্রমিত হয় শিশু এবং বৃদ্ধরা বেশি করে। এই পরিস্থিতিতে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫
আয়োজন নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি পরিকল্পনা করছে, আবারও কি লকডাউন দিবে কিনা পরীক্ষা স্থগিত হবে কিনা।
এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ পিছিয়ে যাবে কিনা এ প্রসঙ্গে অনেকেই কথা বলছে। সর্বশেষ এ ব্যাপারে কথা হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্ব কর্মকর্তাদের সাথে।
তারা জানিয়েছে পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, আগামী 10 এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের মাধ্যমে এসএসসি
পরীক্ষায় আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে। পরীক্ষা সম্পর্কিত রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরীক্ষা আয়োজন করার ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত। কিন্তু কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অথবা ভাইরাস জনিত
কোন সমস্যার কারণে যদি পরিবেশের অবস্থা খারাপ দেখা যায় তখন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে পরিস্থিতি যদি শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুকূলে থাকে তাহলেই শিক্ষার্থীদের মার্ক পড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হবে ও
পরীক্ষায় আসন বন্টনের ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে অর্থাৎ স্বাস্থ্য বিধি মেনে পরীক্ষায় আয়োজন
করার ব্যাপারে তারা চেষ্টা করবে।যাতে করে শিক্ষার্থীরা সুস্থ থেকে পরীক্ষা দিতে পারে এবং কোন সমস্যা না হয়।
আর যদি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় তখন হয়তোবা নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
সে ক্ষেত্রে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে, তবে তা নিয়ে এখনই অগ্রিম কোন কিছু বলতে চাচ্ছে না যারা।
গত ডিসেম্বরে রুটিন প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেখানে 10 এপ্রিল পরীক্ষা শুরু করার জন্য ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
১১ টি শিক্ষাবোর্ড অধীনে প্রায় ২০ লাখের অধিক শিক্ষার্থী তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য অপেক্ষা করছে।