এসএসসি ২০২৫ গনিত খাতায় রেজাল্ট কেমন ? ফেল বেশি নাকি কম ?

মাধ্যমিক পর্যায়ে এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার খাতা এরই মধ্যে দেখা শুরু করেছে শিক্ষকরা। বোর্ডগুলো থেকে খাতা শিক্ষকদের নিকট পাঠানো হচ্ছে।

যা মূল্যায়ন শেষ করে সরাসরি রেজাল্ট করবে শিক্ষা বোর্ড দিলো। ইতিমধ্যে শিক্ষকরা কয়েকটি বিষয় খাতা দেখা শেষ করে নম্বর বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে।

আরও পড়ুনঃ আন্দোলনে যাচ্ছে এসএসসি ২০২৫ শিক্ষার্থীরা: কিন্তু কেন ?

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাংলা প্রথম পত্র ইংরেজি প্রথম পত্র এবং ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ও সাধারণ গণিত।

গণিত পরীক্ষা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। কেননা বহুনির্বাচন এবং সৃজনশীলনকে পৃথকভাবে অনেক শিক্ষার্থী খারাপ করেছে।

কারো সৃজনশীল ভালো হয়েছে আবার কারো বহুনির্বচনী অংশ ভালো হয়েছে। এই অবস্থায় ফেলের সংখ্যা গণিত বিষয়ে কেমন জানতে চাওয়া হয়েছিল

কয়েকটি বোর্ডের একাধিক পরীক্ষকের কাছে। যারা কিনা চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় ৩০০ থেকে ৪০০ খাতা পেয়েছে।

যার মধ্যে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষকদের নিকট সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা খাতা এসেছে। এক্ষেত্রে আমরা শিক্ষকদের কাছে জানতে চেয়ে ছিলাম

১০০ পরীক্ষা খাতার মধ্যে কতজন গণিত পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ করেছে এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষার্থীরা কেমন ফলাফল করেছে।

আরও পড়ুনঃ SSC Result 2025 Published Date – কবে রেজাল্ট দিবে ?

এই প্রশ্নের জবাবে গনিত শিক্ষকরা বলেন চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষার খেয়াল রাখার ক্ষেত্রে আমরা

স্বাভাবিক নিয়ম অনুসরণ করেছি। প্রতিবছর শিক্ষা বোর্ড যেভাবে নির্দেশনা প্রদান করে আমরা সেগুলো করেছি।

তবে অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা নিজেরা খাতা মূল্যায়ন না করে অন্য কাউকে দিয়ে মূল্যায়ন করিয়েছে।

এক্ষেত্রে আমরা শিক্ষকদেরকে পরামর্শ দিব তারা যেন এমন ভুল না করে। কারণটা এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার খাতায় একজন

শিক্ষার্থী অনেকগুলো বছরের পরিশ্রম যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে না হয় তাহলে অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবে।

এছাড়া শিক্ষকরা বলেন আমরা খাতা মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে সচেতন ছিলাম। চেষ্টা করেছি সর্বোচ্চ নম্বর প্রদান করার।

৭০ নম্বরের পরীক্ষার খাতা আমাদের কাছে এসেছে। যেখানে অনেক শিক্ষার্থী 70 নম্বরের মধ্যে ৭০ নম্বর পেয়েছে।

মূলত গনিতে নাম্বার কাটা খুবই মুশকিল। যদি উত্তর সঠিক হয় তাহলে তাকে সম্পূর্ণ নম্বর দিতে হবে।

যে কারণে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা ভালো ফলাফল করেছে। তবে ফেল করা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে অনেক শিক্ষকদের মধ্যে।

অনেকে বলছে ১০০ পরীক্ষায় খাতায় গড়ে ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী ফেল করছে। আবার অনেক শিক্ষকের কাছে দেখা যাচ্ছে

১০০ টাকার মধ্যে সর্বোচ্চ 20 থেকে 25 জন শিক্ষার্থী ফিল করছেন। গত বছরে এই ফেলের সংখ্যা পরিমাণ আরো অনেক বেশি ছিল।

তবে সৃজনশীল অনেক ভালো রেজাল্ট করল বহুনির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ফলাফল আরো খারাপ হবে বলে জানিয়েছে খোদ শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছে আমরা সৃজনশীল অনেক ভালো উত্তর দিল, নির্বাচনের অংশই আমরা অনেক খারাপ দিয়েছি।

এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তারা দাবি জানিয়েছে সৃজনশীল নৈব্যক্তিক মিলিয়ে পাশ দেয়া হোক।

এই কারণ অনেক শিক্ষার্থী এক দুই নম্বরের কারণে পরীক্ষা ফেল করছে। যে বিষয়টি অনেকটাই অমানবিক।

শিক্ষা বোর্ডের উচিত হবে এ বিষয়গুলো পূর্ণ বিবেচনা করা এবং বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল অংশ মিলিত করে পরীক্ষায় পাশ নম্বর সিস্টেম চালু করা।

Leave a Reply