মাধ্যমিক পর্যায়ে এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ে। এখন খাতা মূল্যায়ন করে নম্বর পাঠানো হবে বোর্ডের কাছে। যার উপর ভিত্তি করে রেজাল্ট তৈরি করবে।
এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার খাতা দেখা নিয়ে কথা হয়েছিল একাধিক প্রধান পরীক্ষক এবং পরীক্ষকদের সাথে।
আরও পড়ুনঃ এসএসসি ২০২৫ খাতা দেখছে টিকটকার – ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে সর্বশেষ নির্দেশনাগুলো সম্পর্কে জানতে যাওয়া হয়েছিল। শিক্ষকরা জানিয়েছে পরীক্ষার মূল্যায়ন
করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন রয়েছে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক ব্যতীত অন্য
কেউ এসএসসি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করছে। এমনকি সেই খাতার ভিডিও করে টিকটক ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এতে করে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে বর্তমানে রয়েছে। সর্বশেষ ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে
প্রকাশিত নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে কোন শিক্ষক নিজে খাতা মূল্যায়ন না করে অন্য কাউকে দিয়ে মূল্যায়ন করায়
তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ১৯৮০ সালের ৪২ ধারা অনুযায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
খাতা মূল্যায়ন প্রসঙ্গে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছে প্রথমদিকে যে সকল পরীক্ষা হয়েছিল তার খাতায়
ইতিমধ্যে শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে গেছে এবং সেগুলো মূল্যায়ন করে প্রধান পরীক্ষকের কাছে দিবে শিক্ষকরা।
এরপরে তা প্রধান পরীক্ষক কর্তৃক বোর্ডের কাছে পাঠানো হবে। যার উপর ভিত্তি করে রেজাল্ট তৈরি করা হবে।
ইতিমধ্যে অনেকগুলো বিষয়ের খাতায় প্রধান পরীক্ষকদের কাছে চলে এসেছে খুব শীঘ্রই বোর্ড সেগুলো সংগ্রহ করে রেজাল্ট তৈরি করবে।
আরও পড়ুনঃ এসএসসিতে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালু হবে ? কি বলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
অন্যদিকে শিক্ষকরা বলেন এবছরের পরীক্ষার খাতা লেখার ধরন অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। অনেক শিক্ষার্থীর সৃজনশীল
লেখার নিয়মগুলো সম্পর্কে আগে অবগত ছিল না। যেমন তেমন করে পরীক্ষার প্রশ্নের খাতা উপস্থাপন করতো।
কিন্তু চলতি বছরে আমরা অনেকটাই দেখেছি সে বিষয়গুলো কমে গেছে। সুন্দরভাবে খাতা উপস্থাপন করেছে শিক্ষার্থীরা।
তাদেরকে যথেষ্ট নাম্বার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে পাশের হার বাড়বে বলে আমাদের ধারণা।
বিশেষ করে বাংলা এবং ইংরেজি বিষয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো পরীক্ষা দিয়েছে এবং আমাদের কাছে বেশ ভালো
পরীক্ষার খাতা এসেছে। তবে সামগ্রিকভাবে রেজাল্ট কেমন হবে বিষয়টি রেজাল্ট প্রকাশ হওয়ার পরই জানা যাবে।


My goal is that no student should be disadvantaged due to lack of information. Education should be for everyone.